বাউফলে জোড়া খুনের আসামীদের ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বাউফলে জোড়া খুনের আসামীদের ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বাউফল: পটুয়াখালীর বাউফলে যুবলীগ নেতা রকিব উদ্দিন রুমন ও যুবলীগ কর্মী ইশাদ তালুকদারের  খুনিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বাউফল প্রেসক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলন  অনুষ্ঠিত হয় ।
বাউফল প্রেসক্লাবের সহ:সভাপতি মো: দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেশবপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এবং নিহত রুমনের বড় ভাই সালেহ উদ্দিন পিকু।
লিখিত বক্তেব্যে তিনি বলেন, মামলার প্রধান আসামী কেশবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু আগাম জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদী ও বাদীর আত্বীয় স্বজন এবং মামলার স্বাক্ষীদের বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর সহ প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে। এতে আমি আমার পরিবারের সদস্যসহ মামলার স্বাক্ষীরা সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকি। যে কোন সময় আমাদের খুন ও স্বাক্ষীদের গুম করে ফেলতে পারে। আমার ভাইকে খুন করার পর খুনীরা ঘটনাস্থানে উল্লাস করে বলেছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের মতো আমাদের স্বপরিবারে হত্যা করতে চেয়েছিল। তিনি খুনের ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামীদেরকে অভিলম্বে গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি করেন ।
এ সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিহত যুবলীগ নেতা রুমনের মা ফাতিমা বেগম, মামলার বাদি ও বড় ভাই মফিজ উদ্দিন মিন্টু, ইউপি সদস্য জিয়া উদ্দিন সুজন, বোন জেবুন্নাহার অনি, কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুল ইসলাম টিটুসহ কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট রোববার সন্ধ্যায় কেশবপুর বাজারে প্রতিপক্ষের হাতে যুবলীগ নেতা রুমন ও তার চাচাতো ভাই ইসাত তালুকদার খুন হন। এ ঘটনায়  কেশবপুর ইউপির আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক (বহিস্কৃত)  ও ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামী করে মোট ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ এর মধ্যে ১২ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করলেও বাকি আসামীরা পলাতক রয়েছেন।